অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা

আপনি কি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপন চান? তাহলে আপনার রান্নাঘরে অবশ্যই থাকা উচিত অলিভ অয়েল! এই তেল শুধু খাবারের স্বাদ বাড়ায় না, বরং ভরপুর স্বাস্থ্য উপকারিতাও নিয়ে আসে। চলুন, আজ জেনে নেওয়া যাক কেন অলিভ অয়েল আপনার জন্য অনেক উপকারি

কি আছে অলিভ অয়েলে?

চলুন জেনে নিই অলিভ অয়েলে কি কি উপাদান থাকে

১ঃ ১০০ গ্রাম অলিভ অয়েলে ৯৯.৯ গ্রামই চর্বি! কিন্তু ভয় পাবার দরকার নেই, কারণ এই চর্বির বেশিরভাগই (প্রায় ৭৩ গ্রাম) মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড, যা আপনার হার্টের জন্য ভাল। এছাড়াও, এতে ১১ গ্রাম পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ১৪ গ্রাম স্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে, যা সঠিক মাত্রায় শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়।

২ঃ অলিভ অয়েলে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, বিশেষ করে ভিটামিন ই রয়েছে। এটি আপনার কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে এবং বয়স বাড়ার লক্ষণগুলো দূরে রাখতে সাহায্য করে।

৩ঃ ১০০ গ্রাম অলিভ অয়েলে প্রায় ৮০% ভিটামিন ই-এর প্রয়োজনীয় মাত্রা রয়েছে। এছাড়াও, এতে কম পরিমান ভিটামিন কে এবং কিছু খনিজ যেমন ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং পটাশিয়াম পাওয়া যায়।

৪ঃ অলিভ অয়েলে কোনো কোলেস্টেরল, সোডিয়াম বা চিনি নেই। তাই এটি সবার জন্য, বিশেষ করে ডায়াবেটিক ও হৃদরোগী রোগীদের জন্য উপকারী।

সবশেষে, অলিভ অয়েল শুধু স্বাস্থ্যের জন্যই ভালো নয়, এটি খাবারে এক অনন্য স্বাদ এনে দেয়। সালাদ, রান্না, বেকিং – যেখানেই ব্যবহার করুন, এর স্বাদ আপনাকে মুগ্ধ করবে।

অলিভ অয়েল কত প্রকারের হয়ঃ

এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলঃ এই তেল প্রথম চাপেই তৈরি হয়, তাই এর স্বাদ আর গন্ধ সবচেয়ে তীব্র ও মজাদার। এতে অম্লতা কম (0.8% এর নিচে)।

স্যালাড, ডিপ, ড্রেসিং, মাছ ও সবজি সিদ্ধ করতে, পাস্তায় ছিটিয়ে দিতে এই তেল অসাধারণ। তবে রান্না করতে ব্যবহার না করাই ভালো, কারণ তাতে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।

ভার্জিন অলিভ অয়েলঃ এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েলের পরেই আসে এই তেল। অম্লতা সামান্য বেশি (2% এর নিচে)। স্বাদ তীব্র না হলেও মৃদু গন্ধ থাকে।

সালাদের পাশাপাশি লেমন চিকেন, স্টেইক, সবজি ভাজা ইত্যাদিতে এই তেল দুর্দান্ত কাজ করে। কারণ, এর স্মোক পয়েন্ট তুলনামূলকভাবে বেশি।

রিফাইন্ড অলিভ অয়েলঃ রাসায়নিক প্রক্রিয়ায় পরিশোধন করা হয়, তাই স্বাদ ও গন্ধ কম তীব্র। অম্লতাও কম (0.3% এর নিচে)।

ডিপ ফ্রাইং, বেকিং ইত্যাদিতে এই তেল খুবই কার্যকর। এর স্মোক পয়েন্ট বেশি, তাই তাপে নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি কম।

পোমেস অলিভ অয়েলঃ জলপাইয়ের ফালের ছোট টুকরা চাপিয়ে এই তেল পাওয়া যায়। গন্ধ ও স্বাদ কম, রং হালকা হলুদ।

অতিরিক্ত ভার্জিন বা ভার্জিন অয়েলের মতো স্বাদ, গন্ধ তীব্র না হওয়ায় সালাডে সরাসরি ব্যবহার না করাই ভালো। ডিপ ফ্রাইং, স্টার্-ফ্রাইং, বেকিং সহ উচ্চ তাপের রান্নায় দুর্দান্ত। হালকা তাপে ভাজা সবজি, ডিম ইত্যাদিতে এই তেল ছিটিয়ে দিতে পারেন।

স্বাস্থ্যের জন্য অলিভ অয়েলের উপকারিতা

আজ জেনে নিন কীভাবে অলিভ অয়েল আপনার জীবনে স্বাস্থ্যের উজ্জ্বল আলো ছড়িয়ে দিতে পারে:

১ঃ অলিভ অয়েলের মূল উপাদান মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড আপনার হার্টের সুরক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এটি “খারাপ” কোলেস্টেরল (“LDL”) কমিয়ে “ভালো” কোলেস্টেরল (“HDL”) বাড়ায়, ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।

২ঃ অলিভ অয়েলে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি মস্তিষ্কের কোষগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে। এটি স্মৃতিশক্তি বাড়াতে এবং অ্যালঝেইমারের মতো রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।

৩ঃ অলিভ অয়েল ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের একটি ভালো উৎস, যা হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি হাড়ের ঘনত্ব বাড়িয়ে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি কমাতে পারে।

৪ঃ অলিভ অয়েল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়িয়ে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করতে পারে।

৫ঃ অলিভ অয়েল হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে। এটি পিত্ত উৎপাদন বাড়িয়ে খাবার ভালোভাবে হজম হতে সাহায্য করে।

চুলের যত্নে অলিভ অয়েল এর উপকারিতা

অলিভ অয়েল কেবল স্বাস্থ্যের জন্যই উপকারী নয়, চুলের যত্নেও এর অবদান অসীম। চলুন, আজ জেনে নেওয়া যাক কীভাবে অলিভ অয়েল আপনার চুলকে রাজকন্যার মতো ঝলমলে করে তুলতে পারে:

১ঃ শুষ্ক, রুক্ষ চুলের সমস্যা? চিন্তা নেই! অলিভ অয়েল প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে, চুলের আঁশগুলিকে ভেতর থেকে পুষ্ট করে। ফলে চুল কোমল, নরম এবং স্বাস্থ্যোজ্জ্বল হয়ে ওঠে।

২ঃ অস্বস্তিকর খুশকি আপনার চেহারা নষ্ট করছে? অলিভ অয়েলের সাহায্য নিন! এটি মাথার ত্বকে প্রাকৃতিক কন্ডিশনারের মতো কাজ করে, খুশকির কারণ দূর করে এবং চুলের গোড়া মজবুত করে।

৩ঃ চুল পড়ার সমস্যা নিয়ে চিন্তিত? অলিভ অয়েলের চুলের গোড়াগুলিকে পুষ্ট করে, চুল পড়া কমায় এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

৪ঃ দুমদাম চুল সাজানো কষ্টকর হয়ে পড়ে? অলিভ অয়েলের নিয়মিত ব্যবহার চুলকে নরম ও সহজে সাজাতে সাহায্য করে। এটি চুলের গিঁটগুলো খুলে দেয় এবং চুলের আঁশগুলিকে আলাদা করে।

৫ঃ চুলের আসল ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনতে চান? অলিভ অয়েলের মতো ভালো আর কোনো উপায় নেই! এটি চুলের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ফিরিয়ে আনে এবং চুলকে স্বাস্থ্যোজ্জ্বল চেহারা দেয়।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

  • সপ্তাহে একবার অলিভ অয়েল গরম করে মাথায় মাসাজ করুন। ৩০ মিনিট রেখে পরে শ্যাম্পু করুন।
  • চুলের ডগায় অল্প অলিভ অয়েল লাগিয়ে নিন। এটি চুলের আগা ফাটা প্রতিরোধ করবে।
  • হেয়ার মাস্ক হিসেবে অলিভ অয়েলের সঙ্গে ডিম, অ্যালোভেরা জেল বা মধু মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।

নাভিতে অলিভ অয়েল দেওয়ার উপকারিতা

জেনে নিন নাভিতে অলিভ অয়েল ব্যবহারের কিছু অসাধারণ উপকারিতা:

১ঃ নাভিতে অলিভ অয়েল ব্যবহার হজমশক্তি উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং পেট ফাঁপা ও অম্বলের সমস্যা কমাতে সহায়তা করে।

২ঃ নিয়মিত নাভিতে অল্প অলিভ অয়েল ব্যবহার পেট ব্যথা, বমি বমি ভাব এবং পেট খারাপের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।

৩ঃ মেয়েদের মাসিকের সময় অস্বস্তি, ব্যথা ও অনিয়মিত মাসিক নারীদের জন্য একটি বড় সমস্যা। নিয়মিত নাভিতে অলিভ অয়েল ব্যবহার এই সমস্যাগুলো কমাতে সাহায্য করতে পারে।

৪ঃ শিশুদের কোষ্ঠকাঠিন্য ও পেট খারাপের সমস্যায় নাভিতে অলিভ অয়েল ব্যবহার খুবই উপকারী। এটি শিশুদের শান্ত রাখতেও সাহায্য করে।

কীভাবে ব্যবহার করবেন?

  • রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে একটি পরিষ্কার তুলার বল অলিভ অয়েলে ভিজিয়ে নাভিতে লাগান।
  • ৫-১০ মিনিট হালকা ম্যাসাজ করুন।
  • সকালে ঘুম থেকে উঠে তুলার বলটি ফেলে দিন।

ত্বকে অলিভ অয়েল তেলের উপকারিতা

হাজার হাজার বছর ধরে ত্বকের যত্নে অলিভ অয়েল ব্যবহৃত হয়ে আসছে। কিন্তু কীভাবে এই সোনালী তেল আপনার ত্বককে প্রাণবন্ত করবে? চলুন, জেনে নিই:

১ঃ শুষ্ক, ঝাঁঝরা ত্বকের সমস্যা? অলিভ অয়েলের ম্যাজিক স্পর্শে দূর হোক সব চাপ। ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই তেল ত্বকের গভীরে প্রবেশ করে আর্দ্রতা ধরে রাখে। ফলস্বরূপ, আপনি পাবেন কোমল, মসৃণ ও উজ্জ্বল ত্বক।

২ঃ অলিভ অয়েলের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণাবলি ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতিকারক প্রভাব কমাবে। ফলে, বয়সের ছাপ, রিংকল এবং সূর্যের ক্ষতির মতো সমস্যা দূরে থাকবে। ত্বক থাকবে টানটান ও যুবতী।

৩ঃ রাসায়নিক পণ্যের চেয়ে অলিভ অয়েল নিরাপদ ও কার্যকর মেকআপ রিমুভার। এটি মেকআপ সহজেই দূর করে এবং ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখে।

৪ঃ অলিভ অয়েল হাইপোঅ্যালার্জেনিক, অর্থাৎ এটি সংবেদনশীল ত্বকেও ব্যবহার করা যায়। এটি ত্বকের প্রদাহ কমায়, চুলকানি দূর করে এবং লালভাব কমিয়ে দেয়।

৫ঃ অলিভ অয়েলের অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বকের অতিরিক্ত তেল শোষণ করে এবং ছিদ্র বন্ধ হওয়া প্রতিরোধ করে। তবে মনে রাখবেন, অতিরিক্ত ব্যবহারে ত্বক তৈলাক্ত হতে পারে, তাই পরিমিত ব্যবহার করুন।

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • ময়েশ্চারাইজার: রাতে মুখ পরিষ্কার করে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল মাসাজ করুন।
  • মেকআপ রিমুভার: তুলিতে অলিভ অয়েল নিয়ে মেকআপ মুছে ফেলুন।
  • চোখের চারপাশে: সাবধানে কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল লাগিয়ে মৃদুভাবে মাসাজ করুন।
  • ঠোঁটের যত্ন: শুষ্ক, ফাটা ঠোঁটে অল্প অলিভ অয়েল লাগিয়ে নরম করুন।

বাচ্চাদের জন্য অলিভ অয়েল

জেনে নিন বাচ্চাদের জন্য অলিভ অয়েল ব্যবহারের কিছু অসাধারণ উপকারিতা:

রাসায়নিক মুক্ত এই তেল শিশুর স্পর্শকাতর ত্বকে নিরাপদে ব্যবহার করা যায়। শিশুর ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। অলিভ অয়েলের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখা ক্ষমতা শিশুর ত্বককে নরম ও কোমল রাখে।

বাচ্চাদের শরীর ও মনের বিকাশে অলিভ অয়েলের নিয়মিত মাসাজ খুবই উপকারী। অলিভ অয়েলের কোমল স্পর্শ শিশুকে আরাম দেয় এবং ঘুম ভালো হয়এ

কিভাবে ব্যবহার করবেন?

  • মৃদু মাসাজ: গোসলের পর কয়েক ফোঁটা অলিভ অয়েল হালকা গরম করে শিশুর শরীরে মাসাজ করুন।
  • খুশকি দূরীকরণ: অল্প অলিভ অয়েল মাথায় লাগিয়ে কিছুক্ষণ রেখে নরম ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ান।

কিছু কমন প্রশ্ন এবং তার উত্তর

প্রশ্ন ১: অলিভ অয়েল কি স্বাস্থ্যকর?

উত্তর: হ্যাঁ, অলিভ অয়েল খুবই স্বাস্থ্যকর। এতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, মনোস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড (MUFA), ভিটামিন E এবং K প্রচুর পরিমাণে থাকে।

প্রশ্ন ২: অলিভ অয়েল কি ওজন কমাতে সাহায্য করে?

উত্তর: অলিভ অয়েলে থাকা MUFA ওজন কমাতে সাহায্য করতে পারে। এটি ক্ষুধা কমাতে এবং শরীরে চর্বির পরিমাণ কমাতে সাহায্য করে। তবে, অতিরিক্ত পরিমাণে অলিভ অয়েল খেলে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

প্রশ্ন ৩: অলিভ অয়েল কি ডায়াবেটিসের জন্য ভালো?

উত্তর: হ্যাঁ, অলিভ অয়েল ডায়াবেটিসের জন্য ভালো। এটি রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৪: অলিভ অয়েল কি গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভালো?

উত্তর: হ্যাঁ, অলিভ অয়েল গর্ভবতী মায়েদের জন্য ভালো। এটি গর্ভস্থ শিশুর বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৫: অলিভ অয়েল কি শিশুদের জন্য ভালো?

উত্তর: হ্যাঁ, অলিভ অয়েল শিশুদের জন্য ভালো। এটি শিশুদের হজমশক্তি উন্নত করতে এবং ত্বক ও চুলের যত্ন নিতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৬: অলিভ অয়েল কীভাবে সংরক্ষণ করা উচিত?

উত্তর: অলিভ অয়েল ঠান্ডা, অন্ধকার জায়গায় সংরক্ষণ করা উচিত। এটি খোলা বাতাসে রাখা উচিত নয়।

প্রশ্ন ৭: অলিভ অয়েল কি ব্রণের জন্য ভালো?

উত্তর: অলিভ অয়েল অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা ব্রণের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং ব্রণের দাগ দূর করতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ৮: অলিভ অয়েল কি চুলের জন্য ভালো?

উত্তর: হ্যাঁ, অলিভ অয়েল চুলের জন্য খুব ভালো। এটি চুলকে নরম, মসৃণ ও ঝলমলে করে। অলিভ অয়েল চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুল পড়া রোধ করে।

প্রশ্ন ৯: অলিভ অয়েল কি ত্বকের জন্য ভালো?

উত্তর: হ্যাঁ, অলিভ অয়েল ত্বকের জন্য খুব ভালো। এটি ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। অলিভ অয়েল ত্বকের প্রদাহ কমাতে এবং রুক্ষ ত্বক দূর করতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ১০: অলিভ অয়েল কি রান্নার জন্য ভালো?

উত্তর: হ্যাঁ, অলিভ অয়েল রান্নার জন্য খুব ভালো। এটি স্বাস্থ্যকর এবং তেলেভাজা, স্যুপ, সালাদ, ড্রেসিং ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যায়।

প্রশ্ন ১১: অলিভ অয়েল কীভাবে ব্যবহার করা যায়?

উত্তর:

  • রান্নার জন্য: অলিভ অয়েল রান্নার জন্য খুব ভালো। এটি তেলেভাজা, স্যুপ, সালাদ, ড্রেসিং ইত্যাদিতে ব্যবহার করা যায়।
  • ত্বকের যত্নের জন্য: অলিভ অয়েল ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে এবং বয়সের ছাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি মুখের মাস্ক, ময়েশ্চারাইজার, মেকআপ রিমুভার ইত্যাদি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।
  • চুলের যত্নের জন্য: অলিভ অয়েল চুলকে নরম, মসৃণ ও ঝলমলে করে। এটি চুলের মাস্ক, হেয়ার অয়েল ইত্যাদি হিসেবে ব্যবহার করা যায়।

প্রশ্ন ১২: অলিভ অয়েলের ক্ষতিকর দিক কী?

উত্তর: অতিরিক্ত অলিভ অয়েল ব্যবহারে ওজন বৃদ্ধি, পেট খারাপ এবং ডায়রিয়ার সমস্যা হতে পারে। অলিভ অয়েল অ্যালার্জির কারণ হতে পারে।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here